শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনীতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রায় ১যুগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাহিরে। গত দশম জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ না নেওয়ায় দেশের রাজনীতিক অঙ্গন থেকে অনেকটা ছিটকে পড়েছে।
অপর দিকে পটুয়াখালী-০২(বাউফল) আসন থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়। বাকী দীর্ঘ সময় একক অধিপত্য বিস্তার করে আসছে আওয়ামীলীগ। এজন্য বাউফলকে আওয়ামীলীগের দূর্গ বলা হয়ে থাকে। বাউফলের অনেক রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাউফল বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো অনেক দূর্বল। যারাই বাউফল থেকে মনোয়ন প্রত্যাশা করেন তারা কেউই সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী না যতটা শক্তিশালী আওয়ামীলীগ। তারা মনে করেন বাউফলে বিএনপির যোগ্য নেতৃত্ব শূন্যতা রয়েছে। এজন্য তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প দেখছেন না তারা। তারা মনে করেন, বাউফলে বিএনপির যোগ্য নেতৃত্ব শূন্যতা এবং দলীয় কোন্দল থাকায় আওয়ামীলীগ এই আসনে একভাবে অধিপত্য বিস্তার করে আসছে। আর এই দলীয় কোন্দল থাকায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত আন্দোলন সংগ্রামে তেমন শক্ত ভাবে অংশ গ্রহন করতেও দেখা যায়নি দলটিকে। এই কারনে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করে আসছে অন্যদিকে সংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছেন বাউফল বিএনপি। জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বাউফল বিএনপির বড় একটি অংশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় ঘোষিত সহ সকল কর্মসূচি তার নেতৃত্বে পালিত হয়ে থাকে। অপর দিকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো: মুনির হোসেন মনির ও জিয়া গবেষনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তারা সবাই এই আসন (পটুয়াখালী-০২ বাউফল) থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে বিএনপির হাই-কমান্ড ও স্থানীয় নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে এ.কে.এম ফারুক তালুকদার এগিয়ে রয়েছেন। ফারুক তালুকদার এগিয়ে থাকার কারন হিসাবে জানা যায় ১/১১ সময় বিএনপির সাবেক এমপি নেতাকর্মীদের বিপদে রেখে নিজে নিরাপদ স্থানে গা ঢাকা দেয়। এদিকে ফারুক নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। যার জন্য ২০০৮ সালে দল তাকে মনোনয়ন দেয়। সে সময় শহিদুল আলম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ আলমের পক্ষে অবস্থান নেন। এছাড়াও দল বিরোধী বক্তব্য দেয়। এজন্য তাকে জেলা ও উপজেলা বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। বর্তমানে সে দলের কোন পদে নেই। অপর দিকে ক্ষমতায় থাকিকালিন সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সে এবং তার দলের নেতা কর্মীরা সরাসরি জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ আছে, যার জন্য সাধারন মনুষেরও আস্থা নাই তার উপর। এদিকে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য যে যার মত করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিসুর রহমান ও মুহাম্মাদ মনিরও পিছিয়ে নেই। এখন পর্যন্ত তারা বাউফলে পরিছন্ন রাজনীতি করছেন বলে মনে করেন বাউফল বিএনপির একটি অংশ। আনিস ১/১১ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। এপর্যন্ত বাউফলে ১৭২ টি পথসভা ,সাধারন মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ মনির বাউফলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা সভা অব্যহত রেখেছেন। এই চর্তুমুখি অন্তর্কোন্দল বাউফল বিএনপির দুর্বলতার অন্যতম কারন হিসাবে দেখছেন সাধারন কর্মীরা। বাউফল উপজেলার প্রবীণ বিএনপি নেতারা মনে করেন দলীয় কোন্দল নিরাসণ না করতে পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচন , দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি সহ যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে সুবিধা জনকে স্থান করে নিতে পারবেনা দলটি। তারা মনে করেন, দলের বৃহত্তম স্বার্থে সকলের ঐক্যবধ্য হওয়ার বিকল্প নেই, যেহেতু ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগ এই আসনে যথেষ্ট শক্তিশালী। বাউফলে বিএনপির জনপ্রিয়তা ও ভোট ব্যাংক রয়েছে। সেটা দলীয় ঐক্য , শক্তিশালী সাংগঠনিক তৎপরতা দিয়ে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। আগামী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হবে “বাউফল ইশা আন্দোলন ও জোটের রাজনীতি”
Leave a Reply